Top News

কে হচ্ছেন ভবিষ্যত মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

 

কে হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটগ্রহণে আর মাত্র দুদিন বাকি। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় কমলা-ট্রাম্পের পরস্পরিরোধী আক্রমণে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। এরই মধ্যে প্রায় ৭ কোটির বেশি আগাম ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।

জ্যোতিষী অ্যালান লিচম্যান। ছবি: সংগৃহীত
জ্যোতিষী অ্যালান লিচম্যান। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২ মিনিটে পড়ুন

বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

 
তবে চূড়ান্ত বিচারে কে জিতবেন, তা জানা যাবে আরও কয়েক দিন পর। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ‘নস্ত্রাদামুস’ খ্যাত অ্যালান লিচম্যান। তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে আসছেন। এরমধ্যে একবার ছাড়া প্রতিবারই তার ভবিষ্যদ্বাণী সফল হয়েছে।
 
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডেকে অ্যালান লিচম্যান বলেন, আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে কমলা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে দেবেন। এর আগে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লিচম্যান বলেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবেন।
 
 
যদিও, সে সময় বিভিন্ন জরিপে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এরপর, ২০২০ সালেও লিচম্যান জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পকে হারিয়ে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হবেন।
 
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লিচম্যান বলেন, ‘জনমত জরিপের বিপরীতে গিয়ে আমি ‍গত ৫ সেপ্টেম্বর যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম, তা পরিবর্তন করার দরকার পড়ে এমন কিছু ঘটেনি।’ গত ৫ সেপ্টেম্বর লিচম্যান বলেছিলেন, হ্যারিসই এবারের নির্বাচনে জিতবেন।
 
 
লিচম্যান সাধারণত বেশ কয়েকটি সূচকের ভিত্তিতে তার ভবিষ্যদ্বাণী করে থাকেন। এসব সূচক কার ‘পক্ষে’ ও কার ‘বিপক্ষে’ তা আমলে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন।
 
লিচম্যানের ১১টি সূচকের মধ্যে ৮টিই যাচ্ছে কমলা হ্যারিসের পক্ষে। বিপক্ষে যাচ্ছে মাত্র ৩টি। তার মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যে অবস্থান বিবেচনায় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এই সময়ে এসেও তার খুব একটু পরিবর্তন হয়নি। তাই তার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, কমলা হ্যারিসই প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।

সম্পূর্ণ নিউজ সময়
১৩ টা ৫৩ মিনিট, ২ নভেম্বর ২০২৪

দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোয় শেষ সময়ের প্রচারে ব্যস্ত ট্রাম্প-কমলা

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য মিশিগান ও উইসকনসিনে দুটি নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, উইসকনসিনের অ্যাপলটন ও মিলওয়াকিতে প্রচার চালিয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১ মিনিটে পড়ুন

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে তারা অঙ্গরাজ্যগুলোতে এ সমাবেশ করেন। খবর বিবিসির।

 
সমাবেশে ভোটারদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রবাসীর জন্য তিনি আশার বার্তা নিয়ে আসবেন। অর্থনৈতিক ধসের জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেট প্রার্থীকে দায়ী করেন তিনি। পরে মিশিগানের আরব-আমেরিকান ভোটারদের সঙ্গেও দেখা করেন ট্রাম্প।
 
মিশিগানের ওয়ারেন শহরের জনসমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘চার বছর ধরে আমরা যে লড়াই করছি, আগামী চার দিন পর তা শেষ হচ্ছে।’
 
 
অন্যদিকে একইদিনে উইসকনসিনের সমাবেশে ভোটারদের উদ্দেশে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পেলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে পরিবর্তন করে দেবেন।
 
উইসকনসিনের ম্যাডিসনে সাংবাদিকদের কমলা বলেন, ‘যিনি (ট্রাম্প) সহিংস বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথা বলতে পারেন, তিনি পরিষ্কারভাবে একজন অযোগ্য ব্যক্তি। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য।’
 
আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তবে এর আগেই বেশকিছু অঙ্গরাজ্যে শুরু হয়েছে আগাম ভোটগ্রহণ। এখন পর্যন্ত ৬ কোটিরও বেশি ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
 
 
বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে, সমর্থনের দিক থেকে দুজন সমানতালে এগোচ্ছেন। এ অবস্থায় জয়-পরাজয়ের বিষয়টি মূলত নির্ভর করছে উইসকনসিন, মিশিগানসহ দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্যে কে এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকেন, সেটির ওপরে।
 

সম্পূর্ণ নিউজ সময়
১১ টা ৩৭ মিনিট, ২ নভেম্বর ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সেনা ও অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানকে সতর্ক করতে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র যেসব অস্ত্র মোতায়েন করবে তার মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসকারী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার বি-৫২ বোমারু বিমান।

দূরপাল্লার বি-৫২ বোমারু বিমান। ছবি: রয়টার্স
দূরপাল্লার বি-৫২ বোমারু বিমান। ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২ মিনিটে পড়ুন

শনিবার (২ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 
শুক্রবার পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইরান যদি তার অংশীদার বা তার প্রক্সিদের এই মুহূর্তটি আমেরিকান কর্মীদের বা এই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থকে টার্গেট করার জন্য ব্যবহার করে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।’
 
যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করেই মধ্যপ্রাচ্যে এই অতিরিক্ত সামরিক অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। গত মাসে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী থাড দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
 
রাইডার বলেন, নতুন বাহিনী ‘আগামী মাসগুলোতে আসতে শুরু করবে।’
 
 
ইসরাইল গত ২৬ অক্টোবর ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য হামলা চালায়। এর আগে ইরান ইসরাইলে দুটি বড় হামলা চালিয়েছে-একটি এপ্রিলে দামেস্কে তার কনস্যুলেটে হামলার পরে ইসরাইলকে দায়ী করে করা হয়েছিল এবং আরেকটি অক্টোবরে, যেটিকে তেহরান বলেছিল, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সমর্থনকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নেতাদের হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ছিল।
 
পর্যবেক্ষকরা সতর্ক করেছেন যে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে অব্যাহত সামরিক অভিযান আরও বাড়তে পারে।
 
এদিকে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে ইরানের তিন সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
 
 
তেহরানের যুদ্ধ পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস বলেছে, ইসরাইলি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর সর্বোচ্চ নেতা খামেনি গেল সোমবার তার সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে পরিকল্পনার (হামলার) নির্দেশ দিয়েছেন।
 
ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা ইসরাইলি সামরিক লক্ষ্যবস্তুর সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
 

সম্পূর্ণ নিউজ সময়
১০ টা ৫৪ মিনিট, ২ নভেম্বর ২০২৪

মার্কিন নির্বাচন: কে বসবেন মসনদে নজর গোটা বিশ্বের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিস্তর প্রভাব দেখা যায় বিশ্বজুড়ে। কে বসবেন মসনদে সে দিকে তাকিয়ে থাকে ইউরোপ, এশিয়া, আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলো। ট্রাম্প বা কমলা যিনিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন না কেন, তার সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে এর ওপর নির্ভর করে সেসব দেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দাফতরিক বাসভবন। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দাফতরিক বাসভবন। ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩ মিনিটে পড়ুন

গাজা যুদ্ধ, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ কিংবা চীন-তাইওয়ান সংঘাত, এসব স্থানে অন্যতম মুখ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ ও অন্যতম প্রধান সামরিক শক্তি হিসেবে পরিচিত এই দেশটি বিভিন্ন উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশকে সাহায্য সহযোগিতা দেয়ার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে থাকে।

 
তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে প্রতি চার বছর পর পর তাকিয়ে থাকে এই সব দেশ, তথা গোটা বিশ্ব। অনেক দেশ মার্কিন নির্বাচনকে নিজ দেশের নির্বাচনের মতই গুরুত্ব দিয়ে দেখে থাকে। কারণ বিশ্বে নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব পড়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট বদলের কারণে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বেশিরভাগ দেশই।
 
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাইডেন প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে চায়, তবে দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য হুমকি বলে মনে করেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফল কানাডা ও মেক্সিকোর ওপরও প্রভাব ফেলে।
 
ট্রাম্প নির্বাচিত হলে মার্কিন প্রশাসনের এই নীতি অনেকটাই বদলে যেতে পারে। কানাডা সঙ্গে কঠোর নীতি গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে মেক্সিকোর ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করা হবে বলেও ধারণা করা হয়।
 
 
বর্তমানে চীনে বেড়ে চলেছে অর্থনৈতিক সংকট, বেকারত্ব ও বিদেশি বিনিয়োগ হ্রাস যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য এক বড় সুযোগ।
 
এদিকে জাপানের সঙ্গে নিরাপত্তা জোট শক্তিশালী করছে মার্কিন সরকার। দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর বিপুল অর্থ ব্যয় করে থাকে। এই চাপ কমানোর জন্যে ট্রাম্প নির্বাচিত হলে দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রতিরক্ষা খরচ বাড়ানোর চাপ দেবেন বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করবেন কমলা। তবে দুজনেই উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকি মোকাবিলায় সতর্কতার প্রতি গুরুত্ব দেবেন।
 
ট্রাম্প বিজয়ী হলে ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হতে পারে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের। থাকবে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কাও। কিন্তু হ্যারিস চাইবেন সম্পর্ক উন্নত করতে। বিশেষ করে ন্যাটোতে মার্কিন তৎপরতা কমলে পুরো ইউরোপেই নিরাপত্তা সংকটে পড়বে বলে মনে করে ডেমোক্র্যাটিক শিবির।
 
অন্যদিকে নির্বাচনের ফলাফল ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থানকে প্রভাবিত করবে। কমলা হ্যারিস ইউক্রেনের প্রতি নিশ্চিতভাবেই সমর্থন বাড়াবেন, তবে ট্রাম্পের নীতি কী হবে তা অনিশ্চিত। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কও নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভরশীল।
 
 
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর গাজা যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। ইরানকে নিয়ে ট্রাম্প ও কমলার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা মনে করেন, মার্কিন নেতৃত্বে যিনিই আসুন, তাকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত মুসলিম বিশ্ব। এ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হতে পারে নতুন প্রেসিডেন্ট।
 
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক গত চার বছরে অনেকটা দৃঢ় হয়েছে বটে, তবে সমঝোতার ক্ষেগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে অগ্রগতির পরিমাণ আশানুরূপ নয়। নতুন প্রশাসনকে এই দিকে মনোযোগ দিতে হবে, সেই সাথে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। দক্ষিণ এশিয়াকে স্থিতিশীল করতে দুই দেশের সরকারকেই বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে বলেও মনে করেন তারা।
 

সম্পূর্ণ নিউজ সময়
১০ টা ২৯ মিনিট, ২ নভেম্বর ২০২৪

লিজ চেনিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, তোপের মুখে ট্রাম্প

সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ চেনিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে এবার তোপের মুখে ডোনাল্ড ট্রাম্প। লিজ চেনিকে তাক করে কয়েক ব্যারল গুলি চালিয়ে পরীক্ষা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। নিজের এ বক্তব্যের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিক চেনিকে খুনি বলে সম্বোধন করেন তিনি।

সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ চেনি। ছবি: এপি
সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ চেনি। ছবি: এপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২ মিনিটে পড়ুন

নির্বাচনের বাকি মাত্র আর অল্প কিছুদিন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই চলছে কথার লড়াই।

 
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ নভেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রচারণা চালান। সমর্থকদের সামনে নিজেদের প্রেসিডেন্সির জন্য উপযুক্ত বলে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন এই দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।
 
তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের এক বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। বৃহস্পতিবার অ্যারিজোনার গ্লেনডেলে ফক্স নিউজ চ্যানেলের উপস্থাপক তাকার কার্লসনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ চেনিকে বুদ্ধিহীন বলে সম্বোধন করেন ট্রাম্প।
 
 
শুধু তাই নয়, লিজের হাতে একটি মাত্র রাইফেল দিয়ে তার চেহারাকে তাক করে কয়েক ব্যারেল গুলি চালিয়ে পরীক্ষা করা উচিত বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
 
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তার হাতে একটি রাইফেল ধরিয়ে দিয়ে তার দিকে নয় ব্যারেল গুলি চালিয়ে পরীক্ষা করা উচিত। দেখা যাক তিনি কেমন অনুভব করেন।
 
যদিও বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় লিজ চেনিকে নিয়ে করা মন্তব্যে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করে। সে বার্তায় তিনি ডিক চেনিকে একজন খুনি বলে উল্লেখ করেন।
 
ট্রাম্পের এ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন, বিরোধীদের নিয়ে ট্রাম্পের সহিংস বক্তব্যের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। ট্রাম্পের এমন বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা।
 
 
কমলা হ্যারিস বলেন, তার শত্রুদের তালিকা আরও দীর্ঘ হয়েছে। তিনি আগের চেয়ে কম  মনোনিবেশ করছেন। তার বক্তৃতা আরও চরম আকার ধারণ করেছে এবং আমেরিকান জনগণের প্রয়োজন-উদ্বেগ ও চ্যালেঞ্জের দিকে
 
এরপর, যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের এক নির্বাচনী র‌্যালিতে কমলা ট্রাম্পকে আবারও মানসিক ভারসাম্যহীন বলে উল্লেখ করেন। 
এছাড়া ট্রাম্প মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন কমলা। হ্যারিসকে সমর্থন জানাতে নেভাদার প্রচারণায় যোগ দেন জনপ্রিয় মার্কিন সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ।
 
স্থানীয় সময় শুক্রবার মিশিগানের ডিয়ারবর্ন ও ওয়ারেনে প্রচারণা চালান ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস ধ্বংস করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

Post a Comment

Previous Post Next Post