Top News

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ

DAILYNEWS.ORG
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ

মাহফিল থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ। তিনি বুকে, চোখে এবং পিঠে আঘাত পেয়েছেন।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল যমুনা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে পেছন থেকে আসা একটি ট্রাকের ধাক্কায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। টাঙ্গাইলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, আমাদের সকলের প্রিয় দাঈ, বর্তমান সময়ের সাহসী কন্ঠস্বর, নন্দিত খতীব, আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ গতরাত্রে মাহফিল থেকে ফেরার পথে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। টাঙ্গাইল যমুনা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ট্রাক পেছন থেকে আঘাত করে গাড়িটি সামনে পেছনে দুমড়ে মুচড়ে দেয়।

মাকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না মেয়ের
তিনি বুকে, চোখে এবং পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত হন। আল্লাহর অসীম দয়ায় তার জ্ঞান ফিরেছে। টাঙ্গাইলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে দ্রুত ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আল্লাহর মেহেরবানীতে এখন আশঙ্কামুক্ত আছেন। পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে। নানান ধরনের সংবাদ ছড়িয়ে পরেছে অনেকেই আতঙ্কিত হচ্ছেন। আমরা চিকিৎসার পরবর্তী আপডেট জানাব ইনশাআল্লাহ। আশু আরোগ্য এবং পূর্ণ সুস্থতার জন্য দুয়ার মুহতাজ।

প্রসঙ্গত, আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট হওয়ার সুবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রাষ্ট্রপতি গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে এম.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং সেখানে পিএইচডি গবেষণারত।

তিনি শিক্ষাজীবনে প্রতিটি স্তরে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রখ্যাত স্কলার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের (রহিমাহুল্লাহ) একজন ছাত্র। খতীব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মসজিদুল জুম’আ কমপ্লেক্স, পল্লবীতে। একই সঙ্গে বেসরকারি টেলিকম সেবা দানের প্রতিষ্ঠান ইবিএস-এর রিলিজিয়াস ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং তিন কন্যাসন্তানের জনক। এই তরুণ আলেম একজন প্রাঞ্জলভাষী দাঈ। পছন্দ করেন আল্লাহর পথে দাওয়াত দিতে, লিখতে এবং তরুণ ও যুবসমাজের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক কাজ করতে।

Post a Comment

Previous Post Next Post