সবসময় উদ্বেগে ভোগেন? স্বাভাবিক হতে যেসব করণীয়
স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রকাশিত : ১২:০০, ০৮ নভেম্বর ২০২৪ | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
সমস্যা শনাক্তকরণ: কেন দুশ্চিন্ত বা উদ্বেগে আছেন বলে মনে হয়, তা নিজে নিজে জানার চেষ্টা করুন। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে একজন থেরাপিস্টের পরামর্শ নিন। তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বললে অনেক সহজেই সমস্যা শনাক্ত করা যায়। একইসঙ্গে সমাধানের পথও সহজ হয়।
সাধারণত ব্যক্তিগত বা অফিস সংক্রান্ত কাজ, সম্পর্ক, পারিপার্শ্বিক নানা সমস্যা, কোনো ওষুধ সেবন বা ওষুধ সেবন বন্ধ করা, অতীতের কোনো তীক্ততা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, ক্যাফিন গ্রহণ ও ধূমপানজনিত সমস্যা থেকে উদ্বেগের সৃষ্টি হতে পারে। মানুষভেদে ভিন্ন ভিন্ন কারণে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
থেরাপি নেয়া: বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সাইকোথেরাপি রয়েছে, যারা মানুষের মানসিক সমস্যা নিয়ে কাজ করেন। তারা আপনার উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তার মতো সমস্যা নিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করেন। এ ক্ষেত্রে তারা অনেক সময় থেরাপি দেয়াসহ ওষুধ প্রদান এবং প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য চিকিৎসকের কাছে রেফার্ড করেন।
ওষুধ সম্পর্কে জানা: দুশ্চিন্তা অনেক সময় তীব্র হয়ে থাকে। যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্রমশ ঘায়েল করে। এ ক্ষেত্রে কেউ কেউ ওষুধ সেবনে উপকৃত হয়ে থাকেন। কিন্তু ঠিক কোন ওষুধটি আপনার জন্য প্রয়োজন, তা জানা না থাকলে সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলবে না।
এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিলেকটিভ সেরোটোনিন রিআপটেক ইনহিবিটরস (SSRIs), সেরোটোনিন-নোরেপাইনফ্রাইন রিউপটেক ইনহিবিটরস (SNRIs), বেনজোডিয়াজেপাইনস এবং ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্টস ওষুধগুলো সেবন করতে পারেন। আর হ্যাঁ, কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব ওষুধ সেবন করা যাবে না।
স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৮:৪০, ০৮ নভেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ০৮:৪৫, ০৮ নভেম্বর ২০২৪

উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেতে করণীয়
উদ্বেগের অনেক খারাপ দিক থাকলেও অনেকেই আবার এটিকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে থাকেন। কেউ কেউ এটিকে শুধুই অস্বস্তি অনুভব হিসেবে বলেন। উদ্বেগ থেকে নানা ধরনের অসুখ হওয়ার কথা হয়তো জানা আছে। কিন্তু এ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে কি জানেন আপনি? এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ প্রদানকারী ওয়েবসাইট হেলথ লাইন। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
সমস্যা শনাক্তকরণ: কেন দুশ্চিন্ত বা উদ্বেগে আছেন বলে মনে হয়, তা নিজে নিজে জানার চেষ্টা করুন। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে একজন থেরাপিস্টের পরামর্শ নিন। তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বললে অনেক সহজেই সমস্যা শনাক্ত করা যায়। একইসঙ্গে সমাধানের পথও সহজ হয়।
সাধারণত ব্যক্তিগত বা অফিস সংক্রান্ত কাজ, সম্পর্ক, পারিপার্শ্বিক নানা সমস্যা, কোনো ওষুধ সেবন বা ওষুধ সেবন বন্ধ করা, অতীতের কোনো তীক্ততা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, ক্যাফিন গ্রহণ ও ধূমপানজনিত সমস্যা থেকে উদ্বেগের সৃষ্টি হতে পারে। মানুষভেদে ভিন্ন ভিন্ন কারণে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
থেরাপি নেয়া: বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সাইকোথেরাপি রয়েছে, যারা মানুষের মানসিক সমস্যা নিয়ে কাজ করেন। তারা আপনার উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তার মতো সমস্যা নিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করেন। এ ক্ষেত্রে তারা অনেক সময় থেরাপি দেয়াসহ ওষুধ প্রদান এবং প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য চিকিৎসকের কাছে রেফার্ড করেন।
ওষুধ সম্পর্কে জানা: দুশ্চিন্তা অনেক সময় তীব্র হয়ে থাকে। যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্রমশ ঘায়েল করে। এ ক্ষেত্রে কেউ কেউ ওষুধ সেবনে উপকৃত হয়ে থাকেন। কিন্তু ঠিক কোন ওষুধটি আপনার জন্য প্রয়োজন, তা জানা না থাকলে সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলবে না।
এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিলেকটিভ সেরোটোনিন রিআপটেক ইনহিবিটরস (SSRIs), সেরোটোনিন-নোরেপাইনফ্রাইন রিউপটেক ইনহিবিটরস (SNRIs), বেনজোডিয়াজেপাইনস এবং ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্টস ওষুধগুলো সেবন করতে পারেন। আর হ্যাঁ, কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব ওষুধ সেবন করা যাবে না।
সামাজিক হওয়া: যদিও প্রতিটি মানুষই আলাদা, এরপরও অনেকেই সামাকিজক উদ্বেগে থাকেন। এ ক্ষেত্রে সমাজের মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন। বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। সমাজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিন। এতে যেমন একাকীত্ব দূর হবে, একইসঙ্গে চাঞ্চল্য ও হাস্যকর সময় কাটবে আপনার। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়া ও যুক্ত হওয়া আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে চাপমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
সক্রিয় থাকা: নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং নিজের প্রতি যত্নবান মানুষদের সঙ্গে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করুন। এতে উদ্বেগজনিত উপসর্গগুলো দূরে থাকবে। আর যেকোনো ধরনের সমস্যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Post a Comment