Top News

জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা কমানো সম্ভব: সিপিডি

DAILYNEWS.ORG
জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা কমানো সম্ভব: সিপিডি

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অতিরিক্ত মুনাফা ও অপচয় বন্ধ ও বাজারভিত্তিক হলে জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমানো সম্ভব বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলেছে, জ্বালানি তেলের দাম নিয়মিত সমন্বয়ে সরকারের তৈরি সূত্র সংশোধন করার প্রয়োজন আছে।

‘বাজারভিত্তিক জ্বালানি নির্ধারণ: সরকারের নেতৃত্বে পদক্ষেপ ও সম্ভাব্য সংশোধন’ শীর্ষক এক সেমিনারের লিখিত নিবন্ধে এটি বলা হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ সেমিনারের আয়োজন করে সিপিডি। এতে বলা হয়, জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) মাধ্যমে দাম নির্ধারণের সূত্র তৈরি করা যেতে পারে।

মূল প্রবন্ধে সিপিডি জানায়, বাজারভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে মূল্য নির্ধারণ হলে ডিজেলের দাম ১০.৫০ টাকা, কেরোসিনের দাম ৮.১০ টাকা, পেট্রোলের দাম ১১.৩২ টাকা ও ফার্নেস অয়েলের দাম ০.৭১ টাকা কমানো সম্ভব। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় গত ৩১শে অক্টোবর নভেম্বর মাসের জন্য জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করে। ওই সময় ডিজেলের বিক্রয় মূল্য প্রতি লিটারে ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কেরোসিনের মূল্যও লিটারে ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে অকটেন ১২৫ টাকা লিটার ও পেট্রোলের দাম ১২১ টাকা লিটার অপরিবর্তিত রাখা হয়। বিপিসি গত বছর প্রায় ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা মুনাফা করে। এ বছরও তাদের মুনাফা হবে প্রায় ৪ হাজার কোটির ঘরে। কিন্তু কমছে না জ্বালানির দাম। গত মার্চ থেকে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

সিপিডি’র গবেষণা বলছে, আমদানি ও বিপণনের বিভিন্ন ধাপে অপচয় ও অতিরিক্ত মুনাফা করছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠান। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবছর সরকার এ খাতে ১৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ককর আদায় করে। তারপরও তেল বিক্রিতে অতিরিক্ত মুনাফা অযৌক্তিক।


বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অতিরিক্ত মুনাফা ও অপচয় বন্ধ ও বাজারভিত্তিক হলে জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমানো সম্ভব বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলেছে, জ্বালানি তেলের দাম নিয়মিত সমন্বয়ে সরকারের তৈরি সূত্র সংশোধন করার প্রয়োজন আছে।

‘বাজারভিত্তিক জ্বালানি নির্ধারণ: সরকারের নেতৃত্বে পদক্ষেপ ও সম্ভাব্য সংশোধন’ শীর্ষক এক সেমিনারের লিখিত নিবন্ধে এটি বলা হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ সেমিনারের আয়োজন করে সিপিডি। এতে বলা হয়, জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) মাধ্যমে দাম নির্ধারণের সূত্র তৈরি করা যেতে পারে।

মূল প্রবন্ধে সিপিডি জানায়, বাজারভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে মূল্য নির্ধারণ হলে ডিজেলের দাম ১০.৫০ টাকা, কেরোসিনের দাম ৮.১০ টাকা, পেট্রোলের দাম ১১.৩২ টাকা ও ফার্নেস অয়েলের দাম ০.৭১ টাকা কমানো সম্ভব। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় গত ৩১শে অক্টোবর নভেম্বর মাসের জন্য জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করে। ওই সময় ডিজেলের বিক্রয় মূল্য প্রতি লিটারে ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কেরোসিনের মূল্যও লিটারে ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে অকটেন ১২৫ টাকা লিটার ও পেট্রোলের দাম ১২১ টাকা লিটার অপরিবর্তিত রাখা হয়। বিপিসি গত বছর প্রায় ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা মুনাফা করে। এ বছরও তাদের মুনাফা হবে প্রায় ৪ হাজার কোটির ঘরে। কিন্তু কমছে না জ্বালানির দাম। গত মার্চ থেকে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

সিপিডি’র গবেষণা বলছে, আমদানি ও বিপণনের বিভিন্ন ধাপে অপচয় ও অতিরিক্ত মুনাফা করছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠান। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবছর সরকার এ খাতে ১৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ককর আদায় করে। তারপরও তেল বিক্রিতে অতিরিক্ত মুনাফা অযৌক্তিক।

আইবিএফবি’র সভাপতি হুমায়ুন রশীদ বলেন, আমদানি করা কোনো উপাদান ওনারা ব্যবহার করেন না। বিপিসি সেখান থেকে প্রচুর পয়সা লাভ করছে।
বিইআরসি’র চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের সূত্র তৈরি নিয়ে বিইআরসি কাজ করবে। বিইআইসি’র মাধ্যমে দাম নির্ধারণে কোনো জটিলতা থাকার কথা নয়। সরকার এ খাতে ভর্তুকি দিতে চাইলে, সেটিও বিইআরসি’র মাধ্যমে দিতে পারবে। এ ছাড়া প্রতিটি কোম্পানির বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৃতীয় পক্ষ দিয়ে যাচাই করতে পারে বিইআরসি। সরকারি কোনো কোম্পানি তো মুনাফা করার কথা নয়। তারা খরচ বুঝে আয় করবে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান আমিন-উল আহসান বলেন, সব খরচ বিপিসি’র নিয়ন্ত্রণে নেই। শুল্ক, কর সরকারের হাতে। তবে জ্বালানি তেলের আমদানি মূল্য বিপিসি কমাতে পারে। ইতিমধ্যে এটি কমানো শুরু হয়েছে। মজুতের সক্ষমতা বাড়াতে পারলে সরবরাহকারীদের সঙ্গে দর-কষাকষি আরও বাড়ানো যাবে। এ ছাড়া খরচ কমাতে চুরি, অপচয় কমাতে হবে। বাজারের সঙ্গে মিল রেখে জ্বালানি তেলের দাম স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই, সরকার সেটি শুরু করেছে।

তবে বাজারভিত্তিক দাম নির্ধারণে বিরোধিতা করেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, বিইআরসি’র কাছে না দিয়ে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ সরকারের হাত রাখতে জ্বালানি উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত হতাশ করেছে। আগের সরকারের ধারাবাহিকতায় তেল, ডিজেল, পেট্রোল, কেরোসিনের মূল্য নিজের হাতে কেন রাখতে হবে? দ্রুত বিধিমালা জারি করে এটি বিইআরসি’র হাতে দিতে হবে। না হলে এলপিজি’র মতো এটিও আদালতের মাধ্যমে বাধ্য করা হবে। জ্বালানি তেল থেকে প্রতিবছর ১৩-১৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব নেয় সরকার, বিপিসিও মুনাফা করে। এটা সরকারের স্ববিরোধিতা।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, সব খাতে সংস্কার চলছে। জ্বালানি খাতেও এর হাওয়া লাগছে। ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনা করে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করার সুযোগ রয়েছে। বিপিসি’র ভর্তুকির প্রয়োজন পড়ে না, কারণ তারা বড় মুনাফা করে। এই মুনাফা সমন্বয় করলে ভোক্তা স্বার্থ প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বিদ্যুতে।

তিনি বলেন, প্রতি লিটার জ্বালানি তেলে বিপিসি’র ৫ শতাংশ মুনাফা ধরেও দাম কমানো সম্ভব। আর বিইআরসি’র মাধ্যমে দাম নির্ধারণের সূত্র তৈরি হলে দাম আরও কমে যাবে। জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালিদ আহমেদ বলেন, জেট ফুয়েলের প্রাইসিং কমিটিতে আমি ছিলাম, আমাদের দেশে দাম কম থাকলে বিদেশি ফ্লাইটগুলো এখানে এসে তেল নিবে, তখন একটি ক্রাইসিস হতে পারে, সে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা হয়েছে। স্বাধীনতার এতদিন পরেও আমরা একটি রিফাইনারি করতে পারিনি। পুরাতন রিফাইনারির (ইআরএল) লাইফ টাইম অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। আমদানির চেয়ে দাম বেশি পড়ে, এটা আমরা পাবলিকলি বলি না, কারণ তখন বলা হবে এটা বন্ধ করে দাও।

এতে আরও বক্তব্য দেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালিদ আহমেদ, বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হুমায়ূন রশীদ প্রমুখ। নিবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী হেলেন মাশিয়াত ও প্রোগ্রাম এসোসিয়েট ফয়সাল কাইয়ূম।

Post a Comment

Previous Post Next Post