DAILYNEWS.ORG
চট্টগ্রামের আদালতে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় না থাকলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত বলে জানিয়েছেন সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব হায়দার খান।
তিনি বলেন, ‘সেখানে মৃত্যুর ঘটনাটি অবশ্যই অনেক বেদনাদায়ক। আমাদের সার্বিক চেষ্টা থাকে যেকোনো ধরণের মৃত্যু প্রতিরোধ করার। কিন্তু আমাদের সক্রিয়তার কারণেই হয়তো অনেক বড় ঘটনা সেখানে ঘটেনি। আপনারা জানেন সেখানে বিক্ষোভকারীরা সংখ্যায় অনেক ছিল। সেই পরিস্থিতিতে কিন্তু সেখানে আরও খারাপ ঘটনা ঘটতে পারতো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়ায় কারণে সেরকম কিছু হতে পারেনি।’
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে ঢাকা সেনানিবাসের সেনা অফিসার্স মেসে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত সেনাসদরের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্নেল ইন্তেখাব এসব কথা বলেন।কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, সেনাবাহিনীর পদক্ষেপের কারণে অনেক ঘটনা শেষ পর্যন্ত ঘটছে না। যেগুলো ঘটছে সেগুলোও যেন থেমে যায় সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে সেনাবাহিনী। তবে ছাত্র ও শ্রমিকদের মতো সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে যখন সেনাবাহিনীর শক্তি প্রয়োগের বিষয় আসে তখন অনেক চিন্তা করে এগোয় সেনাবাহিনী। সেজন্য হয়তো অনেকে মনে করতে পারেন যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অনেক পরে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দেখা গেছে এবং তারা আসার পরেও তেমন ভূমিকা কেন দেখা যায়নি- জানতে চাইলে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, এই ছাত্ররাই কিন্তু আন্দোলন করে দেশের এমন একটা পরিবর্তন এনেছে। আমরা সবাই আশা করছি যে দেশটা একটা ভালো দিকে যাবে। ছাত্ররাই যখন কারও ইন্ধনে পরিস্থিতি না বুঝে সাময়িকভাবে ডিরেইলড হয়ে যাচ্ছে তখন তাদের বিরুদ্ধে আমরা যদি শক্তি প্রয়োগের কথা চিন্তা করি তখন আমাদের কিন্তু অনেক চিন্তা করে কাজটা করতে হয়। আমরা আশা করি ছাত্ররা বা সাধারণ মানুষ যারা আছে প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব বুঝবেন। আর সামাজিক মাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে কোনো উস্কানি এলে সবাই যেন যাচাই করার চেষ্টা করেন যে আসলে ঘটনাটি কী ঘটছে।
সেনাবাহিনীর অবস্থান থাকার পরেও অনেক ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে আপনাদের গোয়েন্দা তথ্যের কোনো ঘাটতি আছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘাটতি আছে আমি বলবো না। ইন্টেলিজেন্সের বিষয়ে সবার সাথে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানে না এরকম কোনো ঘটনা হয়নি।

Post a Comment