Top News

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ব্যান্ডউইথ নিতে চায় ভারত, বিটিআরসির না

DAILYNEWS.বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ব্যান্ডউইথ নিতে চায় ভারত, বিটিআরসির না
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতকে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)।

google newsকুমিল্লার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিটিআরসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি ভারতের এক প্রস্তাবের বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।


বিটিআরসি সূত্র জানায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সামিট কমিউনিকেশন্স ও ফাইবার অ্যাট হোম এবং ভারতের টেলিকম অপারেটর ভারতীয় এয়ারটেল এই দুই ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) কোম্পানি ব্যান্ডউইথ অবকাঠামো স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। অনুমোদন প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তন না হলে এতদিনে হয়তো ট্রানজিটের অনুমোদন পেয়ে যেত। ভারতীয় এয়ারটেল এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠায়। পরে তা যাচাই করতে বিটিআরসিতে পাঠানো হয়েছিল।

জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া সীমান্তে টেরেস্ট্রিয়াল কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন (টিসিএলএস) স্থাপন করার পরিকল্পনা ছিল সামিট ও ফাইবার অ্যাট হোমের। এর মাধ্যমে কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনে সংযোগ দেওয়ার কথা ছিল, যার মাধ্যমে সেবা সিঙ্গাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হওয়ার কথা ছিল। আর সীমান্তের টিসিএলএস থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে ব্যান্ডউইথ সেবা দেওয়ার কথা ছিল। এয়ারটেল উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো হচ্ছে, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়।এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, এই ট্রানজিটে বাংলাদেশের কোনও লাভই ছিল না। শুধুমাত্র সামিটের মুনাফা লাভ এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতেই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল।

ভারতের লাভের বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ভারতের সেভেন সিস্টার্স থেকে চেন্নাই সাবমেরিন কেবলের ল্যান্ডিং স্টেশনের দূরত্ব সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার, অন্যদিকে ওখান থেকে সিঙ্গাপুরের দূরত্ব আরও ৮ হাজার ৭০০ কিলোমিটার। এ ছাড়া দুর্গম পর্বতের কারণে দেশটির ভেতর দিয়ে সেভেন সিস্টার্সে ফাইবার নেটওয়ার্ক পৌঁছানো ও রক্ষণাবেক্ষণ কঠিন ও ব্যয়বহুল। দীর্ঘ দূরত্বের কারণে ইন্টারনেট গতিও কম হতো। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট পেলে নেটওয়ার্কের দূরত্ব কমে যাবে ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটার এবং সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ল্যাটেন্সি কমে যেত ৩৭ মিলিসেকেন্ড।

Post a Comment

Previous Post Next Post